নিজস্ব প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে ৩টি পুলিশ বক্স ও ৭টি গাড়ি ভাঙচুর এবং ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ সব ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে এসব মামলা করে। মামলায় ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় আন্দোলনকারীরা শহরের নিরালা মোড় ও কুমুদিনী কলেজ গেইট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। এছাড়াও মধুপুরে একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই রাতে নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। কালিহাতীতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মামলা করেন। ঘাটাইলে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ২২ জুলাই পুলিশ সদস্য বাদি হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মধুপুর থানায় ১৯ জুলাই এসআই মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধনবাড়ী থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৯ জুলাই এসআই জহিরুল ইসলাম মামলা করেন। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল ছালাম মিয়া বলেন, আন্দোলনকারীরা হামলা ভাঙচুর করে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এছাড়াও ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪জনসহ এখন পর্যন্ত ১৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, পুলিশ বক্স ও গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।