ইসরায়েলে মঙ্গলবারের (১ অক্টোবর) ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ইতি টানতে চাইছে ইরান। দেশটি বলছে, যা হওয়ার হয়েছে; নতুন করে তারা আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি যখন এ কথা বলছেন তখন ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘কিন্তু যদি’ রেখে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বুধবার (২ অক্টোবর) এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং গাজায় আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সরকার প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলে আমাদের পদক্ষেপ এখানেই শেষ।
যদি ইসরায়েল পাল্টা কিছু করে বসে তবে আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে। এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি তেহরানের বিরুদ্ধে আরও কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিলে ইসরায়েলের সব অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইসরায়েল তার অপরাধগুলো চালিয়ে যেতে চায় বা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযানের চেয়ে আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হামলা হবে। তাদের সব অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কয়েক গুণ বেশি শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমন পোস্ট করেন খামেনি। হিব্রু ভাষায় করা ওই পোস্টে খামেনি লেখেন, ইহুদিবাদী শাসকের জীর্ণ ও ক্ষয়িষ্ণু দেহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্টের আঘাত আরও শক্তিশালী ও বেদনাদায়ক হবে।
মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৮০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় তেহরান। আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিল তেহরান।