আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপকরণ সংগ্রহের কার্যক্রম শেষের পথে।শিগগিরই এসব জেলা পর্যায়ে পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইতিমধ্যে কোন জেলা কী পরিমাণ উপকরণের প্রয়োজন তা জানতে জেলা কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে বলেছে ইসি। সংস্থাটির ক্রয় ও মুদ্রণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
এবার ৪২ হাজার ৩৫০টির মতো ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা করেছিলেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটি। সেখানে ভোটকক্ষ রাখা হয়েছিল দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টির মতো। এর মধ্যে শুনানি শেষে টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র চুড়ান্ত করা হয়। এতে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সব কেনাকাটা চলছে। অনেক মালামাল পেয়েও গেছি। হুসিয়ান ব্যাগ, গালা, সিল, ব্যালট বাক্সসহ সবই পেয়েছি। কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হতে পারে।
ব্যালট পেপার নিয়ে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার আমরা বিজি প্রেস থেকে ছাপাবো। এছাড়া মনোনয়নপত্রসহ অন্যান্য মুদ্রণের কাজও করা হবে। এজন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর বলেছেন,আমাদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এখন কেবল তফসিল ঘোষণাই বাকি রযেছে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো। আগামী ২ নভেম্বর আসন ভিত্তিক তালিকা চুড়ান্ত করবে ইসি।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩ ধরনের নির্বাচনি উপকরণ কিনতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, অমোচনীয় কালী, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, সিল, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশি প্রভৃতি। এসব উপকরণের সিংহভাগ কেনা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো মাঠ পর্যায়ে পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতিমধ্যে জানিয়েছে নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে করা হবে ভোটগ্রহণ।