সমাচার ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে নির্বাচনী কর্মীসভায় এসে ২৩ বছর পর আবারো রাজনীতিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় মধুপুর পৌরসভার কাঠালতলা এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু’র নির্বাচনী কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ আভাস দিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে দীর্ঘদিন বাইরে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর নীতি দর্শনের বাইরে নই। আমি সংস্কৃতিকভাবে আওয়ামী ঘরোনার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার দিক থেকে তিনি আমার বড় বোনের মত ছিলেন, আছেন এবং চিরদিন থাকবেন। বাংলার নেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদ ও নির্দেশে আমি মধুপুরে এসেছিলাম। আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ঘটনা শ্রেষ্ঠ উপহার মধুপুর। আমি ২৩ বছরেও রাজনীতির অঙ্গন মধুপুরে আসি নাই। তবে আজকে এসেছি, সেটাই কি বলে দেয় না। আমি সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে আবু খা আবার বিজয় হোক সেটাই চাই।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে টাঙ্গাইলে সৃজনশীল সকল কর্মের সাথে যতদিন বেঁচে থাকি আমি অবশ্যই জড়িত থাকবো। বৃহত্তর স্বার্থে সবকিছুইতো রাজনীতি। আজকে আমার এই কর্মীসভায় উপস্থিতি সেটাও রাজনীতি। আমি জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকি। জনগন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, আমিও জনগনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা চাইলেই যেকোন প্রয়োজনে আবার আমাকে সক্রিয়ভাবে পাশে পাবে। মধুপুর যা আমাকে দিয়েছে তা সম্পূর্ন অতুলনীয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু বলেন, আবুল হাসান চৌধুরী মধুপুরের কৃতি সন্তান। তিনি মধুপুরের দুই দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন। মধুপুরের সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সাবেক প্রতিমন্ত্রী কায়ছার চৌধুরীকে মধুপুরে তার নিজ বাড়িতে আসতে দেননি। তবে সে আবার দীর্ঘ ২৩ বছর পর মধুপুরের রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন। দীর্ঘদিন পর তার সক্রিয় আগমণে মধুপুর ও আলোকদিয়ার মাটি ধন্য হল। তার উপস্থিতিতে এবারের দোয়া কলম মার্কার আরো গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এরআগে বিকেলে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছারকে উপজেলার গাংগাইর এলাকা থেকে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রায় মাধ্যমে তাকে মধুপুরে কর্মীসভাস্থলে নিয়ে যায়।
সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল আহম্মেদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মীসভায় মধুপুরের ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে কয়েক হাজারের মানুষের সমাগম হয়।