সখীপুরে ( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে একজন সংবাদ কর্মীর হাতে থাকা বুম (মাইক্রোফোনে যুক্ত দন্ড) কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকেরই মাথা ফাটালেন প্রবীণ এক আওয়ামী লীগ নেতা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলা সড়কে মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত সাংবাদিকের নাম সাইফুল ইসলাম শাফলু (৪৬)। তিনি এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সখীপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযুক্ত মনির উদ্দিন মন্টু (৭০) উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহীনুর রহমান বলেন, সাংবাদিকের স্ত্রী রিতা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সড়কের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের নিচতলার একটি কক্ষের ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দীনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের হাতে থাকা এশিয়ান টেলিভিশনের বুম কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করে সটকে পড়েন ওই নেতা। স্থানীয় দোকানদারেরা রক্তাক্ত অবস্থায় আহত সাইফুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পর বেলা দুইটার দিকে উপজেলা প্রেসক্লাবের একটি জরুরি সভায় ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান সাংবাদিকেরা।
বেলা তিনটার দিকে আহত সাংবাদিকের স্ত্রী রিতা আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দীনকে থানায় ডেকে নেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি থানায় আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আহত সাংবাদিক সাইফুল ইসলামকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী, ওসি শেখ শাহীনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ওসমান গনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন মন্টু থানায় আটক হওয়ার আগে বলেন, ঘর ভাড়া প্রসঙ্গে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিক আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন ও তার সঙ্গে থাকা বুম দিয়ে আমাকে আঘাত করেন। পরে আমি তার বুম কেড়ে নিয়ে তাকেও পাল্টা আঘাত করি।