মাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপরে ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা আলামিন ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আলামিন উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ ঘটনায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে হামলার শিকার আলামিন ইসলাম ভূঞাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার জিগাতলা গ্রামে উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আলামিন ও তার চাচাতো ভাই বেলাল শেখসহ কয়েকজন দোকানে বসেছিল। এসময় হঠাৎ করে আলামিনের ওপর বেশ কয়েকজন লোক এসে হামলা করে। পরে স্থানীয়রা আলামিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূঞাপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আলামিনের চাচাতো ভাই বেলাল শেখ বলেন, শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশে আমি ও আলামিন একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ ৪ থেকে ৬ জন আওয়ামী লীগের সমর্থক পেছন থেকে এসে কোনো কিছু না বলেই আলামিনের ওপর হামলা করে। তারা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত।
হামলার শিকার উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আলামিন ইসলাম বলেন, মাদক কারবারি বাবু খাঁকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে তিনি যমুনার চর থেকে আব্দল আজিজ, আসাদুল, সাগরসহ বেশ কয়েক আওয়ামী লীগের সমর্থক নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ভূঞাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আল-আমিনের উপর মাদক-সন্ত্রাসীদের হামলার খবর শুনে তাকে দেখতে ও সার্বিক খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নবাব আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । এ সময় তিনি বলেন, ভূঞাপুর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিনের উপর সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা পরিকল্পিত ও অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমরা টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই সন্ত্রাসী, মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের মধ্যেমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রুবেল খান, দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আরাফাত অনিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসিরসহ জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতারা।
এ ব্যপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম রেজাউল করিম বলেন, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতার ওপর হামলার বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।