টাঙ্গাইলের শরীফ নামের এক বহিষ্কৃত ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে বিবাহিত নারীকে বিয়ের জন্য চাপ, মুরগির রক্ত মেখে মামলাসহ একাধিক ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী । বুধবার দুপুরে জেলার নাগরপুর উপজেলার আলোকদিয়া বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে এলাকাবাসি।
অত্যাচারী ছাত্রদল কর্মী শরীফের বিচার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলম হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, আব্দুস ছামাদ, অত্যাচারের শিকার গৃহবধু বৃষ্টি আক্তার, মানিক মোল্লা, আক্কেল আলী, মসজিদের ইমাম আমিনুর রহমান বোরহান, মান্নান প্রমূখ।
গৃহবধু বৃষ্টি আক্তার জানান, আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছে শরীফ। রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীকে দফায় দফায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি তার বিচার দাবি করছি। নির্যাতিত আক্কেল আলী জানান, গত বুধবার স্কুলের আলিম স্যারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল শরীফ। আমি প্রতিবাদ করায় সে আমাকে ঘুষি মারে। এ কারণে গ্রামের লোকজন তাকে ধাওয়া দেয়, পালিয়ে গিয়ে সে শরীরে মুরগির রক্ত মেখে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে ছাত্রদলের কর্মী আর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হবির শিষ্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এমন কি থানাও তার বিরুদ্ধে মামলা নেয় না। এখন তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। আমরা শরীফের শাস্তি দাবি করছি।
বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, শরীফ খুব বাজে ছেলে। তার আচরণে চরম সমস্যা আছে। সে কোথায় কোথায় মানুষকে মারধর আর মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। তার মত কর্মীর জন্য দলের সমর্থন কমছে। এধরণের কর্মীকে মদদ দেয়াও কোন নেতার ঠিক নয় বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত শরীফ জানান, বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগের তথ্যটি সম্পন্ন মিথ্যা আর বানোয়াট। আমি সাবেক ছাত্রনেতা। আমার ইমেজ নষ্ট করতে এই ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হবিবুর রহমান হবি বলেন,শরীফ আমার কর্মী নয়। আমাকে জড়িয়ে এ মত তোলা উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।