কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়। নারী ও পোষ্য কোটা রাখা হয়নি। অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব একটি বিধিমালা রয়েছে।
এ বিধিমালা অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে অধিদফতর। এমনকি ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পরও নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছে তারা। এমন অবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, তা জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকের কোটা পদ্ধতি থাকবে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়।
এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।