যুগে সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয় মোবাইল ফোন। ফোন কোম্পানিগুলোও প্রতি বছর নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে বাজারে নতুন হ্যান্ডসেট লঞ্চ করে। যুগে সঙ্গে নিজে আপডেট করার জন্যও মানুষ বারবার মোবাইল ফোন পরিবর্তন করে থাকে।বর্তমান সময়ে আবার নতুন ফোন কেনার সময় পুরোনো ফোনটি বিক্রি করে দেন বা ফোনটি বদলে নেন। এতে খচরটা কিছুটা কমে আসে। তবে পুরাতন ফোন বিক্রি আগে ফোনে সব ব্যক্তিগত তথ্য ডিলিট করে দিতে হবে। না হলে কিন্তু পরে বড় বিপদ হতে পারে।
নতুন ফোন কিনতে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে, চলুন তা জানা যাক -বাজেট নির্ধারণ করা: ফোন কেনা পূর্বে বাজেট ঠিক করে নিতে হবে। অনেক সময় মডেল আর ফিচার দেখে, অতিরিক্ত বাজেটে ফোন কিনে অনেকেই বিপদে পরে যান। তাই আপনি কি মডেল, কোন ফিচারের ফোন কিনতে চান এবং এর বাজেট কত হতে পরে? সে সকল বিষয় আগে থেকে জেনে নিতে হবে।ফিচার প্রয়োজনীয়তা বোঝা: আপনার দৈনিক কাজে জন্য ফোনে কি ধরনের ফিচার প্রয়োজন তা আগে জানতে হবে। ক্যামেরা ভালো চাই, না কি ব্যাটারির ব্যাকআপ বেশি দরকার? প্রসেস ভালো লাগবে নাকি স্টোরেজ বেশি লাগবে? এই বিষয়গুলোও ঠিক করে নিতে হবে। এছাড়া ফোনের র্যাম, স্টোরেজ, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, ব্যাটারি ক্ষমতা, ডিসপ্লের রেজোলিউশন, ইত্যাদি বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে।অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন: অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস হলো দুটি প্রধান অপারেটিং সিস্টেম।
তবে সবার আগে জানতে হবে আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ব্যবহার করবেন। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে অভ্যস্ত হন তবে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিতে পারেন। আর যদি আইফোন ব্যবহার করতে চাইলে তবে আইওএস সম্পর্কে একটু ধারণা নিয়ে নিন।ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং সুবিধা: ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন হবে, তা যাচাই করে নিতে হবে। বড় ব্যাটারির ফোনে চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হয়। পাশাপাশি দ্রুত চার্জিং সুবিধা (ফাস্ট চার্জিং) আছে কি না, সেটাও দেখে নিন। ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ পাচ্ছেন সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।ক্যামেরার গুণগতমান: বর্তমান সময়ে ফোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো ক্যামেরা।
শুধু মেগাপিক্সেলের দিকে না তাকিয়ে, ক্যামেরার সেন্সর, লেন্সের মান, ফোকাসিং এবং কম আলোতে ছবি তোলার ক্ষমতা যাচাই করে নিন।স্টোরেজ ক্ষমতা: আপনার ছবি, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণের জন্য ফোনে পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা দরকার। আজকাল বেশিরভাগ ফোনে ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবি বা তার বেশি স্টোরেজ থাকে। এ ছাড়া মেমোরি কার্ড সাপোর্ট করে কি না, তাও দেখুন।
দাম ও বিক্রয় পরবর্তী সেবা: বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি কম দামে ভালো মানে ফোন দিয়ে থাকে। তাই ফোন কেনার পূর্বে অন্য ব্র্যান্ড বা অন্য মডেলের ফোনের দাম সঙ্গে তুলনা করুন। এ ছাড়া পরবর্তী সেবা যেমন ওয়ারেন্টি, সার্ভিস সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা কেমন, তা দেখে নিন।ব্যবহারকারীর রিভিউ ও রেটিং দেখুন: নতুন ফোন কেনার আগে অবশ্যই অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেবেন। এতে ফোনের পারফরম্যান্স, সমস্যা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই বিষয়গুলো মনে রেখে নতুন ফোন কিনলে আপনি একটি মানসম্মত ফোন পাবেন, যা আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।