বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এ দেশে নির্বাচন হতে দিতে চায় না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি গাড়িতে আগুন কিংবা মানুষকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে করে, ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন, উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেবেন, যেন আর কেউ সাহস না পায়।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভা মঞ্চে ওঠেন তিনি। এরপর ২২ প্রকল্প উদ্বোধন এবং দুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীতে ইলেকশন হবে। এই ইলেকশনের সময় একটা বিষয় সবাইকে নজরে রাখতে হবে। বিএনপি-জামায়াত ২০০৮ সালে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। তারা জানে, তাদের নেতা নেই, মুণ্ডুহীন দল। তাদের এক নেতা পলাতক আসামি, এক নেতা কারাগারের আসামি। এজন্য তারা ইলেকশন চায় না। জ্বালাও-পোড়াও করে ইলেকশন বানচাল করতে চায়। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না।’
বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত মানে সন্ত্রাসী। এরা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ।’
দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলাকায় এলাকায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো মানুষের নিরাপত্তা দেবে। আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন। যাতে তারা দেশের কোনও মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারে, তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, যারা আগুন দেয় তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই কাজে সহযোগিতা করবেন।’