টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে দূর্গাপূজার মহাষ্টোমির দিনে মন্ডপগুলোতে ছিলো দেবী ভক্তদের ভীর। পূজা ঘিরে চলছে ভোটের রাজনীতি। মন্ডপে মন্ডপে চলছে হেভিওয়েট প্রার্থীদের আনাগোনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মন্দির ও মন্ডপে মন্ডপে সৌহার্দ ও সমপ্রীতির বার্তা পৌছে দিচ্ছেন।
পাশাপশি আর্থিক অনুদান, মন্ডপ পরিদর্শন, শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়ের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থা অর্জনে মরিয়া তারা। লক্ষ্য নির্বাচনের ভোট টানা। সনাতন ধর্মাবলম্বী পূন্যার্থীরা দিনের বিভিন্ন সময়ে মন্দিরে মন্ডপে ঘুরেছেন। ভক্তরা দেবী দূর্গার চরণে অঞ্জলি দিয়েছেন। মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের ঢোল। শব্দ ধনিতে মূখর প্রাঙ্গন। দেবী দূর্গার আগমনি শুনে ভক্তকূল উলুধ্বনীতে মেতেছে। মঙ্গলবার মহাষ্টোমিতে ভক্তরা অঞ্জলি প্রদান করেন।
উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। পূজা-অর্চনা ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগীতায় নানা আয়োজনে আরও ২ দিন মেতে থাকবেন তারা। এ বছর মর্ত্যে এসেছেন গড়ে চড়ে। হিন্দু শাস্ত্রমতে এর অর্থ মর্ত্যলোক ভরে উঠবে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধিতে। দূর্গা যাবেন দোলায় চড়ে। দেবী দূর্গা দোলায় বা পালকিতে করে আসা বা যাওয়ার অর্থ পৃথিবীতে মহামারি, ভূমিকম্প, খড়া, যুদ্ধ, অতিমৃত্যুর সংখ্যা। দেশ ও মানব জাতীর শান্তি কামনায় নিমগ্ন ছিলেন দেবী দূর্গার ভক্তরা। পুজা মন্ডপে এ বছর সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করেছেন উপজেলা প্রশাসন। মন্ডপে মন্ডপে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। মন্ডপের উঠান তাদের অগ্রিম নির্বচনী প্রচারণা মূখরিত করে রেখেছেন। উদ্দেশ্য একটাই নির্বাচন নামক সোনার হরিণ।
এ সুযোগ কোনও ভাবেই হাত ছাড়া করতে রাজি নয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। তারা বিভিন্ন ভাবে অনুদান, প্রতিশ্রুতি, চাওয়া-পাওয়া সব মিলিয়ে হিন্দু-মুসলমান সহ সকল ধর্মাবলম্বীদের সাথে মিসে দূর্গাপূজাকে নির্বাচনী ট্রাম কার্ড হিসেবে বেছে নিয়েছেন।