টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ কন্যারা এবার এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হলে তাঁদের সাফল্যের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে ওই দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ চার কন্যা জেএসসি ও এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।দুই দম্পতির যমজ কন্যাদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কচুয়া গ্রামের আবু জুয়েল ও চায়না আক্তার দম্পতির যমজ মেয়ে যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এদিকে সখীপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির যমজ কন্যাসন্তান সামিয়া জাহান ওরফে আফসানা ও সাদিয়া জাহান ওরফে শাহানা টাঙ্গাইল জেলা শহরে অবস্থিত কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ– ৫ পেয়েছেন।যারীন ও যাহরার বাবা আবু জুয়েল ও মা চায়না উভয়ই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আবু জুয়েল বলেন, ‘দুই মেয়ের দুই রকম চিন্তা। যারীন তাসনীম প্রকৌশলী ও যাহরা তাসনীম চিকিৎসক হতে চান। মেয়েদের স্বপ্নপূরণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’সামিয়া ও সাদিয়ার বাবা আল-আমিন মিয়া বলেন, ‘দুই মেয়ের ভালো ফলে আমরা আনন্দিত। আমাদের পাশাপাশি প্রতিবেশীও মেয়েদের সাধুবাদ জানাচ্ছে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমার মেয়েদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। মেয়েদের ইচ্ছা, তাঁরা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে।’আল-আমিন মিয়া উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজের ইসলামি শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং আফিয়া আক্তার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ কন্যাদের সাফল্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি। সখীপুরের যেকোনো মানুষের সাফল্যের খবর পেলে আমারও ভালো লাগে। মনটা ভরে যায়।’