মোবাইল অপারেটররা সম্প্রতি বাসাবাড়িতে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার অনুমতি পেয়েছে। এতে থাকছে না টুজি, থ্রিজি কিংবা ফোরজি লাইসেন্সও। নতুন করে লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), যার আওতায় গ্রাহককে ১৪ ধরনের সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটররা।
গ্রাহকদের ১৪ ধরনের সেবা দেবে মোবাইল অপারেটররা।
গ্রাহকদের পঞ্চম প্রজন্মের উচ্চগতির টেলিকম সেবা দিতে ২০২২ সালের মার্চে ১২৩ কোটি মার্কিন ডলারে ১৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কিনে চার মোবাইল অপারেটর। বাণিজ্যিক সেবা চালুর শর্ত দেয়া হয় ২০২৩ সালের মধ্যে। তবে সেবা চালু দূরে থাক! নীতিমালা প্রণয়নেই চলে যায় প্রায় দুই বছর। অবশেষে ৫জি সেবা চালু করতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি লাইসেন্স নীতিমালা প্রকাশ করে বিটিআরসি।
নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার এক বছরের মধ্যে ৫জি সেবা চালু; দ্বিতীয় বছরের শুরু থেকে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোমসহ সব ধরনের ৫জি সেবা চালুর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে মোবাইল অপারেটরদের।
সমন্বিত এই নীতিমালা ফাইভজি’র পাশাপাশি টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি প্রযুক্তির জন্যও প্রযোজ্য। তাই বিদ্যমান থাকা তিন লাইসেন্স একত্রিত করে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিস অপারেটর লাইসেন্স’ নামে নতুন লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে বিটিআরসি, যার মেয়াদ হবে ১৫ বছর। এতে বার্ষিক ফি দিতে হবে ১০ কোটি টাকা।
বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন,
ফাইভজি’র জন্য আলাদা কোনো গাইডলাইন নেই। এখন নতুন করে গাইডলাইন অনুমোদন হয়েছে। এতে করে এই প্রযুক্তি আরও উচ্চগতিতে গেলেও একই গাইডলাইন দিয়ে কাজ করা যাবে।
এই লাইসেন্সের আওতায় ভয়েস কল, তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ মোট ১৪টি সেবা দিতে পারবে মোবাইল অপারেটররা। ব্রডব্যান্ড সেবা পেতে গ্রাহকদের সিগনালের জন্য বাইরে একটি অ্যান্টেনা, ভেতরে রাউটার ও অপারেটরের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের অফিসার তাইমুর রহমান বলেন,
নতুন এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা অবশ্যই চাই যে একটা লাইসেন্সই থাকুক; সবকিছুই যাতে ওইটার মধ্যে থাকে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ১১ কোটি ৮৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করেন ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ।