টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও সখীপুর উপজেলায় সাপের কামড়ে স্কুল শিক্ষার্থী এবং এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) রাত ১টার দিকে ঘাটাইলের দেওপাড়া ইউনিয়নে ও শনিবার (১০ মে) সকালে সখীপুরের বহুরিয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুইটি ঘটে।
মারা যাওয়া স্কুল শিক্ষার্থীর নাম মোছা. আঁখি (১৪)। সে দেওপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর উত্তর পাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের মেয়ে। কাজলী বেগম (৬০) বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা দক্ষিণপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
কালিকাপুর উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আঁখি মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। শুক্রবার রাতে সে নিজ ঘরে পড়তে বসে। এসময় পড়ার টেবিলের নিচে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরিবারকে জানালে রাতেই তাকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আঁখির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিয়া জানান, আঁখির পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
কালমেঘা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কাজলী বেগম শনিবার সকালে পানি আনতে ঘরের পাশের নলকূপে যান। সেখানে একটি সাপ তার বাঁ হাতে ছোবল দেয়। তিনি চিৎকার করে বিষয়টি ছেলেকে জানান। ছেলে তার মাকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাজলী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাজলী বেগমের ছেলে হোসেন আলী বলেন, “মার চিৎকার শুনে দৌঁড়ে যাই। আমি সাপটি দেখতে পাইনি। হাতে সাপে কামড়ানোর চিহ্ন দেখে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মাকে বাঁচাতে পারলাম না।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই নারী মারা গেছেন। তার বা হাতের দুটি আঙুলে ক্ষতচিহ্ন দেখে বিষধর সাপের কামড় বলেই মনে হয়েছে। বিষয়টি থানায় জানিয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।”