ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দেশে থাকা প্রায় সবাই আত্মগোপনে। শেখ হাসিনাসহ অনেকে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতে। অনেককে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও দেখা গেছে। অবশ্য কত নেতাকর্মীকে ভারতে আছেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই কারও কাছে।
এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ একাধিক সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তা ভারত যাওয়ার তথ্য সামনে আনলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সাইর।নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তিনি লিখেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গা ঢাকা দিয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তাদের বেশীরভাগই কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে সরাসরি আসামের গোয়াহাটি এবং আগরতলা বিমানবন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গিয়ে পৌঁছায়।অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তাদের বেশ বড় একটা অংশ এখনো কোলকাতায় অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সীমান্ত পার করতে টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলেও দাবি করেছেন এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তিনি জানান, গোয়াহাটি, আগরতলা এবং শিলং বিমানবন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গেছেন এমন ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিমান টিকিট কপি আমার হাতে এসেছে, যা জনগুরুত্ব বিবেচনায় প্রকাশ করা হলো। তাদের বিমান টিকিটও তিনি পোস্টে সংযুক্ত করে দেন।
যাদের টিকিট পাওয়া গেছে তারা হলেন— টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, যিনি সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের জামাতা; আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া; পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন; হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল; হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জহির।এছাড়াও আকরামুজ্জামান মোল্লা শুভ ও হাবিবুর রহমান, যাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।