টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে তিনটি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। উত্তেজনাপূর্ণ এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল রয়ে গেছে। ৩ মার্চ (সোমবার) দুপুর থেকে উপজেলার সোলাকুড়া এলাকায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত ২০টির বেশি দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাকরাইল, শহদেবপুর ও মুলিয়া—এই তিন গ্রামের মধ্যে স্থানীয় একটি ওরস বিষয়ক শালিসী বৈঠককে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বৈঠকে মাতবর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদ। বৈঠকের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে তা দ্রুত হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের সময় একপক্ষ শুকুর মাহমুদের বিরুদ্ধে উৎকোচের অভিযোগ এনে তার উপর আক্রমন চালিয়ে গুরুতর জখম করলে এবং স্থানীয়রা তাকে কালিহাতী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ।
দুই গ্রামে সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং টাঙ্গাইল — ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ করে গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কালিহাতী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রায় দুই ঘন্টায় পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে । এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করতে তৎপর রয়েছে।
উভয় পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় অন্তত ২০টির বেশি দোকানপাট ভাঙচুর করে হরিলোটের অভিযোগ ওঠেছে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশা করছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।