উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম বলেন, আগামীর বাংলাদেশে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলতে চাই ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রশাসনকে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীওকে বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোন দল, ব্যক্তি গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে ব্যবহার হতে দেখতে চাইনা। আগামীর বাংলাদেশে আমরা কোন মিডিয়াকেও কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠীর দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাইনা। এই মিডিয়া যেনো কোন ব্যক্তি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে না লাগে।
দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে পদযাত্রা শেষে পথ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৪ এর পূর্ববর্তী সময়ে কয়েকটি মিডিয়া অন্ধভাবে দলের দালালি করেছে। তাদের সংবাদ কর্মীরা আজকে তারা যে চ্যানেলে কাজ করে, সেটা বলতেও লজ্জ্বা পায়। আমরা চাইনা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোন মিডিয়ার আর এই করুণ দশা হোক। আমরা এখন পর্যবেক্ষণ করছি কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে। কোন প্রশাসন জনগণের উদ্দেশ্য সার্ফ না করে, ব্যক্তি বা দলীয় গোষ্ঠীর হয়ে সার্ফ করছে।
সার্জিস আলম বলেন, শুধু মাত্র শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে ঘূর্নয়মান করা হয়েছে। অথচ তাদেরকে দেখে যারা রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতো সেই শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সৌহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর মতো ব্যক্তিদেরকে ইতিহাসের একটি কোনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমারা এখানে চাঁদাবাজী দেখতে চাই না। আমাদের কাছে চাঁদাবাজের একটি পরিচয় সে চাদাবাজ। কোন ধরনের দলীয় ব্যক্তিগত কিংবা অন্যকোন প্রভাবে প্রকেটশন দিয়ে এই বাংলাদেশে আর চাঁদাবাজদের রক্ষা করা যাবে না। কেউ যদি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেয়ার চেষ্টা করে, তাহলে সেও চাঁদাবাজের চাঁদার ভাগিদার হিসেকে বিবেচিত হবে।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইলে শহীদ মারুফ হত্যার বিচারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসামী ধরার ততপরতা আমরা লক্ষ করতে পারছি না। আমরা দেখছি টাঙ্গাইলের প্রশাসন কিংবা কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, কিছু দলের নেতাকর্মী এখন সেই বিচারিক প্রক্রিয়াকে সামনের দিকে অগ্রসর না করে , বরং এগুলো নিয়ে মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে। আমরা চিনে রাখছি কারা এই মামলা বাণিজ্য করছে।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে পছন্দের কিছু জেলা বাদ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। যমুনা পাড়ের মানুষের জন্য হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ্আসেনি। যেটুকু এসেছে তাদের নেতা-কর্মীরা লুট করেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরেও টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প সকলের জানা। কিন্ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে টাঙ্গাইলের এই তাঁত শিল্পকে ধীরে ধীরে ধংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ভাসানী হল, এই হলকে কেন্দ্র করে ভাসানীর নাম ছড়িয়ে পড়তে পারতো। কিন্ত সেই হলকে মাদকাসক্তদের আস্তানা বানানো হয়েছে।
সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি’র) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্য সচিব সারোয়ার নিভা, ডা. তাজনুভা জাবিন প্রমুখ।