টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ হিসেবে পরিচিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে , উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন যৌথভাবে চারা ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এর আগে স্থানীয় নার্সারি মালিক ও সাধারণ মানুষকে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের পরিবেশগত ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ ধরনের গাছ মাটির পানির স্তর দ্রুত হ্রাস করে এবং জৈব বৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে জানানো হয়।
উপজেলা শোলা প্রতিমা এলাকায় অবস্থিত শহীদ প্রাইভেট নার্সারি, সানোয়ার নার্সারি, মায়ের দোয়া নার্সারি এবং শাহজাহান মিয়া, কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া ও আব্দুর রহিমের নার্সারিতে এ ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী জানান, ভবিষ্যতে কেউ এসব চারা উৎপাদন বা বাজারজাত করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর নজরদারি চালানো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন জানান, মালিকদের ক্ষতিপূরণ সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ইতিমধ্যে ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল নার্সারি ও ব্যক্তিগত ভাবে উৎপাদিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা ধ্বংস করা হবে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিকে দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এদের লাগানো নিরুৎসাহিত করছে। পরিবেশ উপযোগী নয় বিধায় ১৫ মে ২০২৫ সালে সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।