মো: মুসা মিয়া: দেশের বাজার নিয়ন্ত্রনে প্রথম সাফল্য, টাঙ্গাইলে বাজারের দাম কমানোতে সক্ষম হলো ন্যায্য মূল্য। “দেশে কমদামে অনেকেই পণ্য বিক্রয় করছে, কিন্তু বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারের দাম কমাতে সক্ষম হয়েছে একমাত্র ন্যায্য মূল্যের ইকোনমিক মডেল।” টাঙ্গাইলের সাধারণ ছাত্র সমাজ এবং ন্যায্য মূল্যের প্রবক্তা (ইঞ্জিঃ সাখাওয়াত সমু) এর সহযোগিতায় টাঙ্গাইলে ন্যায্য মূল্যে সকল ধরনের সবজি বিক্রয় হচ্ছে।
টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ জনগণের বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের নাভির শ্বাস উঠে যাচ্ছে। সেখানে এই টাংগাইলে ন্যায্য মূল্যের সবজি বিক্রি করে জনগণকে আসার আলো দেখাচ্ছে একদল তরুণ যুবক ছাত্র এবং ন্যায্য মূল্য নামের নতুন এক বিজনেস মডেলের জনক সাখাওয়াত সমু। এই সাহসী ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের কারণে বর্তমানে টাঙ্গাইলের বটতলা বাজারে সবজির দাম পূর্বের তুলনায় প্রায় ৪০% কমে আসছে মাত্র সাত দিনের মধ্যে। তারা যে জনগণের কতটা সমর্থন এবং সাড়া পাচ্ছে তা এটা বিবেচনা করলে বোঝা যায় যে মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে তাদের সকল পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায় এবং ক্রেতারা খুশি মনে বাড়ি ফিরে যায়। ন্যায্য মূল্যের প্রবক্তা সাখাওয়াত সমু বলেন, যে টাঙ্গাইলে তার বিজনেস মডেল সফল হয়েছে এবং সরকার চাইলে তার বিজনেস মডেল ব্যবহার করে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সারা বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
অনেক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেল ন্যায্য মূল্য থেকে কিনতে না পারলে তারা আফসোস করেন। সাধারণ মানুষের কাছে তাদের মতামত জানতে চাইলে তারা জানালেন প্রত্যেক বাজারে যেন ন্যায্য মূল্য শুরু হয় তার ফলে প্রত্যেক বাজারেই দ্রব্যমূল্য সাধারণ ক্রেতার ক্রয় সীমা এর মধ্যে চলে আসবে এবং দোকানদারদের গলাকাটা দাম বাড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্রদের প্রতিনিধিরা জানান অচিরে প্রত্যেকটা বাজারের ন্যায্য মূল্য এর কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেক ক্রেতারাই তাদের একনিষ্ঠ সমর্থন এবং সাধুবাদ জানাচ্ছে ন্যায্য মূল্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্র এবং ন্যায্য মূল্যের প্রবক্তা সাখাওয়াত সমু কে এবং তাই নয় ন্যায্য মূল্যের যেকোনো প্রয়োজনে তারা তাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে সাথে থাকবেন। এবার মাত্র ১০ দিনে ন্যায্য মূল্য বাজারে যে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। যে বেগুন আগে বিক্রি হতো ১২০ টাকায় এখন বাজারের দোকানদার রাই ৮০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কারণ ন্যায্য মূল্য মাত্র ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতেছে তার থেকেও ভালো মানের বেগুন।
আগে ২০০ টাকার মরিচ বাজারে ১৬০ এবং ন্যায্য মূল্যে তা ১৩০। প্রত্যেক সবজির ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটছে।
ন্যায্য মূল্যের উদ্দেশ্য তিনটা :
১. কৃষকেরা যেন ন্যায্য দাম পায়
২. দোকানদারদেরকে ন্যায্য দাম বুঝিয়ে দেওয়া যে দামে বিক্রি করলে সে তার সংসার খুব ভালোভাবে চালাতে পারবে। তাদেরকে অতিরিক্ত লাভের লোভ ছাড়তে হবে।
৩. সাধারণ জনগণ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ন্যায্য দামে খাদ্যদ্রব্য পাবে এবং স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারবে।
ছাত্রদের এই সাহসী পদক্ষেপ এর কারণে বাজারের দোকানদারেরা তাদের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে, সাধারণ ক্রেতা এবং জনগণের দোয়া এবং সমর্থন, এটাই ন্যায্য মূল্যের সবচেয়ে বড় সাফল্য। ন্যায্য মূল্য কোন সাধারণ মানুষের কল্পনা প্রসূত আইডিয়া নয় বরং এটি বিশ্বের সেরা দুইজন ইকোনমিস্ট অ্যাডাম স্মিথ এবং জন মেয়াড ক্ন্সে এর ইকোনমিক মডেলের একটি সুষম মিশ্রণ। ন্যায্য মূল্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিকূল অবস্থা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এটা শুনতে সহজ মনে হলেও এটাকে বাস্তবায়ন একমাত্র সেই করতে পারবে যার মাইক্রো ইকোনমিক সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান রয়েছে। ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নে যেসকল ছাত্র ভাইদের অসামান্য অবদান তারা হলেন ইমরান, মারুফ, সামি, মেহেরাব, মুহিত, আলিফ, সাব্বির, নিলয়, অননয়, শাফিন, স্মরণ সহ প্রমুখ।