টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের দাফন রাষ্ট্রীয় সন্মাননা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় শহরের বেবিস্যান্ড কেন্দ্রীয় গোরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ নিলেও নিজ দলের কোনো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন না।এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় সন্মাননা ছাড়াই সাধারণ দাফনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।এ সময় আইনশৃংখলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।এ নিয়ে জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটাল। কেন ফজলুর রহমান খান ফারুককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় দাফন করা হয়নি—এই প্রশ্ন শুনেই তিনি কল কেটে দেন। এরপর আবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের থানাপাড়া নিজ বাড়িতে মারা যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।