বাংলা পঞ্জিকায় আশ্বিনের ১১ তারিখ আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। শরতের শেষাংশে এসে দেখা মিলছে বর্ষার চিত্র। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে এমন বৃষ্টি যেন অভিশাপের মতো। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রিকশা চালানো, বোঝা টানা অথবা ফুটপাতে কোনও কিছু বিক্রি করা দুরূহ হয়ে ওঠেছে এই সময়ে। একইসঙ্গে অফিসগামী চাকরিজীবী কিংবা শিক্ষার্থীরাও পড়েন বিপাকে। বৃষ্টিতে গণপরিবহন যেমন সংকট দেখা দেয়, তেমনি বৃষ্টির পানি আটকে অলি-গলিতে শুরু হয় বাড়তি যানজট।
এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকালের মতো আজ বৃহস্পতিবারও (২৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলে থেমে থেমে এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই বৃষ্টি অনেকটাই কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কখনও বেশী আবার কখনও হালকা হচ্ছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত পূর্বাভাসে যা হয়, জেলার অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তি এলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বাসা থেকে বের হতেই বিপদে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকট, রিকশা ভাড়া বেশিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। অনেককেই ভিজে ভিজে অফিসে যেতে দেখা গেছে। টানা ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি জমেছে। কর্দমাক্ত পথে চলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। সড়কে যানবাহন কম দেখা গেছে। তবে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আবার তীব্র যানজটও দেখা গেছে। এই সুযোগে রিকশা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককেই ভিজে ভিজে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।