টাঙ্গাইলের বাসাইলে একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজের সমাবেশ ডাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।আগামীকাল রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে দুটি সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ছাত্র সমাজের ব্যানারে ছাত্র সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহীদ মিনার এলাকায় কাউকেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাধারণ জনগণের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আবেদন লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের অনুমতি চান যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম।
ছাত্র সমাজের পাল্টা সমাবেশ অন্যদিকে, ৫ সেপ্টেম্বর ছাত্র সমাজের ব্যানারে একইস্থানে সমাবেশের আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি, তবে তার মোবাইল নম্বর ও বিস্তারিত ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। সমাবেশটি আওয়ামী সরকারবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
আবেদনকারী রনি মিয়া বলেন, “সারাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। যাতে তা ব্যর্থ হয়, সেজন্য আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। যত বাধাই আসুক নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করব।” পক্ষগুলোর মন্তব্য যুদ্ধকালীন কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল বলেন, “আমরা আগে আবেদন করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বানচালের জন্য তারা একই দিনে সমাবেশ ডেকেছে। অতিথিদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।”
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, একইস্থানে দুটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাউকেই শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, একইস্থানে দুটি সমাবেশের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টি পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”