টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভাতিজার স্ত্রীকে জোরপূর্বক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার বিবরণ ঘটনাটি ঘটেছে নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে।
অভিযুক্ত মামুন মিয়া মৃত হযরত আলীর ছেলে এবং ভাদ্রা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। স্থানীয়রা জানান, মামুন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ভয়ভীতি দেখাতেন। ভুক্তভোগীর স্বামী কামরুল হাসান অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ঢাকায় একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকায় তার স্ত্রী বাড়িতে একাই থাকেন। এই সুযোগে গত তিন বছর ধরে মামুন মিয়া জোরপূর্বক তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি সম্প্রতি স্ত্রী তাকে জানালে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর কাছে বিচার চান, কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায্য বিচার পাননি।
বক্তব্য ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে একা বাড়িতে থাকি। রাত-বিরাতে মামুন আমাকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছে। ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। এখন সাহস করে স্বামীকে জানিয়েছি।” পুলিশের বক্তব্য নাগরপুর থানার এসআই মিলটন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে বাদীকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত মামুন মিয়া পলাতক।