টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ময়মনসিংহ পুরুষ দলের কোচ ও খেলোয়াড়সহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি রেফারিদের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলেছে ময়মনসিংহ দল। রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফাইনাল ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের তালিকা আহতদের মধ্যে রয়েছেন দলের কোচ মাহবুবুল আলম রতন খেলোয়াড় রাজন সাংমা, উল্লাস, রিপন ও সোনালী অভিযোগ: রেফারিদের পক্ষপাত ময়মনসিংহ দলের খেলোয়াড় মোহাম্মদ হাবিব বলেন
ফাইনাল শুরু থেকেই রেফারিরা টাঙ্গাইল দলকে সুবিধা দিয়েছে। আমরা এগিয়ে থাকলেও খেলার শেষ দুই মিনিট আগে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিয়ে টাঙ্গাইলকে বিজয়ী ঘোষণা করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও তাদের রক্ষা করেননি। হাতাহাতির পর দর্শক ও টাঙ্গাইল দলের খেলোয়াড়রা ময়মনসিংহ দলের ওপর হামলা চালায়।

কোচের ওপর হামলার অভিযোগ ময়মনসিংহ দলের ম্যানেজার অনিক হাসান বলেন আমাদের কোচকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, চোখেও মারধর করা হয়েছে। এতে চারজন খেলোয়াড়ও আহত হয়েছেন। এরপরও পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দেয়নি। নারী দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা নারী দলের খেলোয়াড় সোনালী বলেন কোচকে বাঁচাতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। হাড় ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।”
আয়োজক কমিটির বক্তব্য অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র জোনের প্রধান সমন্বয়কারী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন খেলায় আন্তর্জাতিক মানের রেফারি দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে ময়মনসিংহ দল গোলমাল করেছে। তাদের কোচ ও ম্যানেজার রেফারির ওপর হামলা করেন। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা পুলিশের বক্তব্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। মাঠে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল।
চূড়ান্ত ফলাফল পুরুষ বিভাগে: টাঙ্গাইল দল ২৯-২৭ পয়েন্টে ময়মনসিংহকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। নারী বিভাগে: টাঙ্গাইল দল ২২-১৯ পয়েন্টে জামালপুরকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক।