প্রতিনিধি,মোঃ আঃ লতিফ মিয়া: টাঙ্গাইলের সখিপুর সাফ জয়ী রুপা আক্তাররঢ়ঁৎকে সংবর্ধনা দিয়েছে,সখিপুর লালগোলাপ ক্রীড়া ও নাট্য সংঘ। ২২আগষ্ট (শুক্রবার) রাত ৮টায় সখিপুর সৌখিন মোড়ে রফিক রাজু স্কুল মাঠে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
শফিকুল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সখিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংবর্ধে য় অতিথি রুপা আক্তার, সখিপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল গণি, সখিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন,সাবেক পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব মোঃ কায়ছার কাশেম,সখিপুর পৌর যুব নেতা আলী আশরাফ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,সখিপুর উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল,ছাত্রদল ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার ক্রীড়া রেজামুদী দর্শক বৃন্দ। প্রধানঅিতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু বলেন, রুপা আমাদের গর্ভ,আমাদের সখিপুরের অহংকার,তথা বাংলাদেশের গর্ভ। আমাদের রুপার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের কাছে পরিচিত হবে, গর্ভিত হবে এ আশা করছি। রুপা এবং তার পরিবারের পাশে সখিপুর বিএনপি আছে এবং থাকবে সব সময়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সখিপুর সরকারি কলেজ মাঠের পূর্ব পাশে জাতীয় দলের মাঝ মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো রুপা আক্তারের বাড়ি। রুপার বাবা পেশায় একজন দরিদ্র ভ্যান চালক। রুপা আক্তার কাদের নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে নজরে আসে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালক কামরুন্নাহারের। তারপর আর রুপা আক্তারের পিছনে তাকাতে হয়নি।
৪ ভাই বোনের মেঝ রুপা ভর্তি হয়ে যান বিকেএসপিতে। রুপা এবার দশম শ্রেণিতে, এসএসসি দিবে ২০২৬ সালে। দারিদ্রতার কষাঘাতে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারেনি রুপার দুরন্ত প্রতিভাকে। তাইতো রুপা এখন বাবা-মা ও পরিবারের সকলের অনুপ্রেরণায় মাত্র সতেরো বছর বয়সে জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যমনি। রুপা ২০২২সালের বিকেএসপির মাধ্যমে পদযাত্রা ২০২৩সালে ভারতে আন্ডার ১৭ সুব্রত কাপেও অংশ নেয়। ২০২৪সালের জাতীয় দলের জন্য অনুশীলন শুরু করে। ২০২৫সালের মার্চ মাসে জাতীয় দলের হয়ে সাফ গেমস্ ও এএফসিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে। রুপার আশা ২০২৬ সালের নারী বিশ্বকাপে বিশ্বের বুকে নিজেকে মেলে ধরার।