২৩৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার তার দলেরই আনা প্রস্তাবে হেরে গেলেন। ম্যাকার্থি ২১৬-২১০ ভোটে হেরেছেন। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থি রিপাবলিকানরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন। এরকম আটজন এমপি ম্যাকার্থির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটরা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ফলে সামান্য ব্যবধানে তাকে হারতে হয়েছে। হারের পর ম্যাকার্থি বলেছেন, ৫৫তম স্পিকার হিসেবে আমার যাত্রা শেষ হলো। স্পিকার হিসেবে প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি। তবে একটা কথা আমি আপনাদের জানাতে চাই। ঠিক কাজ করাটা সবসময় সহজ নয়। আমার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দ্রুত যেন হাউজ তার স্পিকার নির্বাচন করে নেয়। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, দেশকে এখন জরুরি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। তাই দেরি করা সম্ভব নয়। হাউজ যেন দ্রুত পরবর্তী স্পিকার নির্বাচন করে। ম্যাকার্থি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর স্পিকার হওয়ার জন্য লড়বেন না। এই অবস্থায় পরবর্তী স্পিকার কে হবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ম্যাকার্থির বন্ধু ও নর্থ ক্যারোলিনার এমপি প্যাট্রিক ম্যাকহেনরি নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি ভোটাভুটির আগে বিতর্কের সময় ম্যকার্থির সমর্থনে বলেছেন। তিনিই এখন প্রোটেম স্পিকার হয়েছেন। মোট আটজন রিপাবলিকান ম্যাকার্থিকে সরানোর জন্য ভোট দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটরাও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ম্যাকার্থির নিজের দলের অধিকাংশ এমপি তার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তারপরেও তাকে হেরে যেতে হলো। দক্ষিণপন্থি রিপাবলিকান সংসদ সদস্য ম্যাট গেইটজ এই প্রস্তাব এনেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ম্যাকার্থি।
তিনি সরকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। দিন কয়েক আগে ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের জন্য স্টপ গ্যাপ ফান্ডিং বিল পাস করিয়েছেন। এই বিল পাস না হলে সরকারের কাজ থেমে যেতো। তারপরেই গেইটজ এই প্রস্তাব আনেন। শেষপর্যন্ত ডেমোক্র্যাট ও গেইটজের মতো আটজন এমপি-র ভোটে হেরে যেতে হলো ম্যাকার্থিকে।