সমাচার ডেস্ক: আজ শনিবার রাজধানীতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে কয়েক শ আন্দোলনকারী অবস্থান করছেন। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে হাইকোর্ট ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান করছেন। তাঁদের অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা রয়েছে। আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে জানান, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেড ডিভিশনের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা। জেলা জজকোর্টের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সবার প্রতি আহ্বান, কোনো জেলায় জজকোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, আমাদের দাবি ও কর্মসূচি স্পষ্ট। শান্তিপূর্ণভাবে শুধু হাইকোর্টের আশপাশে অবস্থান নিন। পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।’ হাইকোর্ট ভবনের সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। আজ শনিবার দুপুরে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে এই ফুল কোর্ট সভা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আজকের ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর ফেসবুক পেজে সকালে দুটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান স্ট্যাটাসে।
হাইকোর্ট ভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল পতাকা। আজ শনিবার দুপুরে সকালে দেওয়া স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা এখনো ওতপেতে আছে ছাত্র-জনতার বিজয় ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। শান্তিপূর্ণভাবে হাইকোর্ট ঘেরাও করছে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। এখনো সময় আছে শান্তিপূর্ণ পদত্যাগের। অন্যথায় আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব।’ আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করে ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।’