সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব করতে একটি পে কমিশন গঠন করেছে সরকার। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই কমিশন প্রস্তাবিত কাঠামো তৈরি করবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে গঠিত এ কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে নির্বাচনের আগে নতুন কাঠামো ঘোষণার সম্ভাবনা নেই। ভোটের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আগে ঘোষণা নয় আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে কমিশন প্রতিবেদন জমা দিলে তার ভিত্তিতেই সুপারিশমালা চূড়ান্ত হবে।
মহার্ঘভাতা চালু থাকবে নতুন কাঠামো ঘোষণা ও বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা নিয়ম অনুযায়ী মহার্ঘভাতা পেতে থাকবেন। এ বিষয়ে সরকারের অর্থ বিভাগ ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়েছে।
কমিশনের কাজ ও দিকনির্দেশনা পে কমিশন ১৪ আগস্ট প্রথম সভা করে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম সভায় দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কমিশনকে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এতে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সময়োপযোগী একটি বেতন কাঠামো ঘোষণা করা। তবে এটি বাস্তবায়ন করবে নতুন সরকার।”