লাইফস্টাইল ডেস্ক : দুয়ারে রমজান। স্বস্তির খবর হচ্ছে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন নামের ও ব্রান্ডের সয়াবিন তেল। টেলিভিশনের স্ক্রিনে দেখা যায় চোখ ধাঁধানো সব বিজ্ঞাপন।বিজ্ঞাপনে যাই বলা হোক না কেন, তেলের ভালো মন্দ নির্ভর করে এর চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণের ওপর। কেনার সময় ফ্যাটের পরিমাণ দেখে নেওয়া উচিত। এই উপাদান আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার তারতম্য ঘটাতে প্রভাব রাখে। তেল বেশি পরিমাণে খেলে ফ্যাটও বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। তাই স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বুঝে পরিমিত তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
সয়াবিন তেল একটি উদ্ভিজ্জ তেল যা সয়াবিন উদ্ভিদের বীজ থেকে বের করা হয়। স্যাচুরেটেড, মনো-আনস্যাচুরেটেড, পলি-আনস্যাচুরেটেড সয়াবিন তেল বাজারে পাওয়া যায়। কেনার সময় বোতলে পুষ্টিকর উপাদানের তালিকা দেখে নেবেন এবং ফ্যাটের মাত্রাও খেয়াল করবেন।
পুষ্টিবিদরা বলেন, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ যত কম থাকে, তত ভালো। কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
স্টাইল ক্রেজ ডটকমের তথ্য, সয়াবিন তেল ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই তেল হাড়, চোখ এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে। তবে অধিক পরিমাণে সয়াবিন তেল খাওয়া ঠিক নয়। এর বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস হিসেবে কাজ করতে পারে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বিবিসির তথ্য, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বুঝে পরিমিত পরিমাণে তেল খাওয়া উচিত। ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দৈনিক ৩-৪ চা চামচ, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৭-৮ চা চামচ, ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত দৈনিক ৬-৮ চা চামচ, এরপর ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তাদের ক্ষেত্রে তেল গ্রহণের পরিমাণ তার ওজন বুঝে কিছুটা কমিয়ে আনা উচিত। কারণ দৈনিক চাহিদার তুলনায় বেশি তেল খেলে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি থাকে।