সমাচার ডেস্ক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যালয়ে মেয়েকে গালিগালাজের বিচার চাইতে যাওয়া প্রতিবেশী এক নারীকে মারধর করেছেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের মারধরের ওই ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার (৩৫) ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ও অপর প্রতিবেশী রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রোববার বেলা ১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই নারীকে (জেসমিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।
মারধরের ভিডিও, লিখিত অভিযোগ ও জেসমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেসমিন আক্তার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও জেসমিনের মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে জেসমিনের মেয়েকে গালিগালাজ করেন।
চিকিৎসাধীন জেসমিন বলেন, ‘আমার মেয়েকে হুমকি-ধমকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তাঁর আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছেন। তাঁরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে। আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’