টাঙ্গাইলের সখীপুরে কৃষকের কলাবাগান কেটে চারা রোপণ করায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার ( ২জুন) দুপুরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ওই কলা বাগানের সামনে এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
সখীপুরে কৃষকের কলাবাগান কেটে চারা রোপন করায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
কলা বাগানের মালিক কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, শত বছর ধরে আমরা এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। আমরা নিজের হাতে কলাগাছ লাগিয়েছি, যত্ন করেছি। ফল আসার মুখে বন বিভাগ এসে বিনা নোটিশে কলা গাছ কেটে ও উঠিয়ে ফেলছে। প্রায় ১হাজার কলা গাছ নষ্ট করায় আর্থিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমাদের ধার দেনা রয়েছে। এখন আমাদের উপায় কি? বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পূর্ব সতর্কতা, আলোচনা বা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি প্রমাণিত হয় যে জমিটি আমাদের নয়, তবুও ফলন তোলার সময় পর্যন্ত তো সুযোগ দেয়া যেত। কলাগাছ তুলে, ক্ষতি করে এখন যদি বলা হয় এটা বনভূমি, তাহলে আমাদেরকে এত বছর কেন কিছুই বলা হয়নি?আমরা ইউএনও মহোদয়, এসিল্যান্ড মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাই যেন ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়। দয়া করে আমাদের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা করুন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও বক্তারা বলেন, ফসলের ক্ষতি করা অন্যায়।কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে আমরা তাঁর ক্ষতিপূরণ চাই এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই।বিল্লাল হোসেন ও অন্যান্যরা দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। হঠাৎ করে বন বিভাগের এই উদ্যোগে আমরা হতাশ।
স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার বন রক্ষা করুক, আমরা চাই। কিন্তু সেই বন যদি গরিবের পেটের ভাত কেড়ে নেয়, সেটা তো অন্যায় হবে।
বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন এ বিষয়ে বলেন, এর আগে তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি তাঁরা আমলে নেয়নি। কিছু গাছ উঠানো হয়েছে। পরে তাদের অনুরোধে এবং বনের চারা কোন ক্ষতি না করার শর্তে কলাবাগানের ভিতর দিয়ে বনের চারা রোপন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু বলেন, আমরা অবশ্যই বাগান ও বন বিভাগের পক্ষে। তবে পূর্বে যেখানে বনবিভাগের বাগান ছিল সেখানেই বাগান হবে, নতুন কোন জায়গায় নয়। কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা দুঃখজনক। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসতভিটা ও কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে।
এবিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রণী বলেন, জমির দাবিদার মালিক ও বন বিভাগ কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য বিভাগের উদ্যোগে নতুন বনজ চারা রোপণের অংশ হিসেবে একটি কলাবাগানের প্রায় এক হাজার কলাগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। গত শনিবার সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম পীর সাহেবের চালা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যেই বিএনপির জেষ্ঠ্য নেতাদের অনেকের বক্তব্যেই স্পষ্ট হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ক্ষোভ। বারবার নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি জানানো বিএনপিকে খালি হাতে ফেরার পাশাপাশি...
৫৪ বছরেও দেশে টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। শেষ নেই সংকটের। চিকিৎসার ব্যয়ের ৬৪ ভাগই যায় ব্যক্তির পকেশে। তাট থেকে। অথচ দেশে সরকারি হাসপাতাল প্রায় সাতশ। স্বাস্থ্যখাতে দক্ষিণ এশিয়ায়...
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে অনলাইন লটারির মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহের জন্য ২৪৭ জন কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন। এতে আবেদন করেছিলেন ১ হাজার ৩২ জন কৃষক। এর মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত...