সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের নামে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই নজরুল ইসলাম (৩২) নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. পূর্ণিমা বেগম বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাসন থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, সিমিন হোসেন রিমি, রুমানা আলী টুসি, আখতার উজ্জামান, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশনের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনকে আসামি করে ৩ হত্যা মামলা। শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৪১ জনের নামে হত্যা মামল ‘’শেখ হাসিনাসহ ১১৪ জনের বিরুদ্ধে দুই হত্যা মামলা নিহত নজরুল ইসলাম (৩২) সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার বারইভাগ এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে। গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শাহাবুদ্দিন মন্ডলের বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে গত ২০ জুলাই বেলা ১২টার দিকে তার স্বামী নজরুল ইসলাম ঢাকা-ময়মনসিংহ গামী মহাসড়কের পূর্ব পাশে বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকায় পশমী সোয়েটার গার্মেন্টসের পাকা রাস্তার উপর এসে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে মামলার প্রথম ১৬ জন আসামির নির্দেশে তাদের সঙ্গে থাকা বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে কিল ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে একাধিক আন্দোলনকারীকে আহত করে। এ সময় বিবাদীদের ছোড়া গুলিতে নজরুল ইসলাম তার পিঠের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।