টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার আলোচিত স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ মামলার প্রধান ধর্ষক মোমিন মিয়া (১৯) গ্রেফতার হয়েছে। র্যাবের একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত রাত সোয়া একটায় ঘাটাইল থানার সাপমারা লক্ষিন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প হতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সখিপুর থানার আলোচিত ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী হত ১৭ নভেম্বর সন্ধায় নিজ বাড়ি থেকে নিখেঁজ হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন পরদিন সকালে বাড়ির কাছের জঙ্গলে স্কুল ছাত্রীর পরিহিত কাপড় এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির জুতা দেখতে পান। একই দিন বিকেলে মোবাইল ফোন মারফত মেয়েটির সন্ধান পান। উক্ত সন্ধানের ভিত্তিতে তাকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে সে তার পরিবারকে জানায়, মোমিন মিয়া তাকে প্রথমে চকলেট দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে শরীরে তরল পদার্থ ছিটিয়ে অসুস্থ করে মোমিন মিয়া বসতবাড়ির কাছের জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় মেয়েটির নানি বাদী হয়ে সখিপুর থানায় ২০ নভেম্বর মোমিন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা রুজুর হওয়ার পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়াতদন্ত সহ পলাতক ধর্ষককে গ্রেফতারে তৎপর হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের আভিযানিক দল বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত রাত সোয়া একটায় ঘাটাইল থানার সাপমারা লক্ষিন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোমিন মিয়া (১৯), জেলা-টাঙ্গাইল’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।










