টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে টাঙ্গাইল জেলা যুব অধিকার পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল মাহমুদ কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একদল সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০ আগষ্ট) উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে। আহত যুব অধিকার পরিষদের নেতা হেলাল জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাজিতপুর গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে মনহর আলী, নাঈম, ফাহিম, জিয়াউল হক, তালেক, মোস্তফা গংরা দীর্ঘ দিন যাবত আমার বাবা প্রবাসে ও আমি ঢাকা থাকার সুযোগ নিয়ে বাবার ক্রয়কৃত ৮ শতাংশ নিজস্ব সম্পত্তি বেদখল করে রেখেছে।
এই ৮ শতাংশ জমি আমার বাবা নজরুল ইসলাম বিগত ৪০ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত কান্টুর ছেলে মজুর কাছ থেকে দলিল মূলে সাব কওলা কিে নেন। এই জমি উদ্ধারের বিষয়ে এলাকায় সালিস বৈঠক হলেও বিবাদী গন বিগত ফ্যাসিস্ট আ’লীগের নেতা কর্মীদের পক্ষে নিয়ে তারা পেশি শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দা করে আপোষ মীমাংসা হয়নি। এই জমি তাদের কে ছেড়ে দিতে বলায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মান্নান, মনহর আলী ও জিয়াউল হক গংরা রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড় ও শাবল ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের দোকান ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে।এ সময় বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে।
আমি ও আমার বাবাকে মাথায় এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। বিবাদী সন্ত্রাসী মনহর আলী গংরা আমাকে ও আমার দলকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামলা করলে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সেই সাথে ঘটনার সময় আমার দোকানে ভাংচুর ও কুপিয়ে আনুমানিক অর্ধলক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও ক্যাশ বাক্সের নিচের সিন্ধুকে থাকা ৫ লক্ষাধিক রাখা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি ও আমার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছি। বিবাদী সন্ত্রাসীদের হুমকির ভয়ে আমার পুরো পরিবার আতংকে রয়েছি। এঘটনায় আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন সহ বাংলাদেশ সরকারের কাছে ন্যায় বিচার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করছি।
আহত হেলাল মাহমুদের স্ত্রী নার্গিস বেগম, বোন লুৎফা বেগম ও হেলালের মা হেলেনা বেগম এরা কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, এই স্বাধীন দেশে রাম দাসহ অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে আমার ছেলে হেলাল ও আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দ্যেশে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি।
এঘটনায় বিবাদী আব্দুল মান্নান গংদের কাছে জানতে তাদের বাড়ীতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
আহত নজরুল ইসলাম(৪৯) বাজিতপুর গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে ও যুব আধিকার পরিষদের নেতা আহত হেলাল মাহমুদ(২৫) নজরুল ইসলামের ছেলে।
টাঙ্গাইল জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হেলালের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস.এম শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, যুব অধিকারের নেতা হেলালকে কুপানোর ঘটনাটি শুনেছি এবং এবং আহবস্থায় দেখেছি মাথায় কুপিয়েছে অপরপক্ষরা। মামলা দায়ের করা হলে দ্রুত আসামীদেও গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।