দেহঘড়ি ডেস্ক : যক্ষ্মার জীবাণু শুধুমাত্র ফুসফুসে আক্রমণ করে, বিষয়টি তা নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, যক্ষ্মার জীবাণু মানুষের মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে, ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি এমনকি হাড়সহ যেকোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংক্রমিত হতে পারে। তবে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস।
অনেকে জন্মগতভাবেই যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বহন করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে জীবাণু থাকা মানে এই নয় যে, ব্যক্তি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত। যেহেতু তিনি জীবাণুর ধারক, তাই নিজে আক্রান্ত না হলেও তার মাধ্যমে অন্যের যেকোন অঙ্গেই যক্ষ্মা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা বেশি আক্রান্ত হন। আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এই জীবাণুতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ, দরিদ্রতা, মাদকের আসক্তি ও অপুষ্টি। এই রোগ হলে ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এ ছাড়া শরীরের ওজন হঠাৎ কমে যেতে থাকে। জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হয়। যক্ষ্মার জীবাণু শরীরের কোন অঙ্গে সংক্রমিত হচ্ছে ওপর ভিত্তি করে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ফুসফুসে যক্ষ্মার জীবাণু সংক্রমিত হলে টানা কয়েক সপ্তাহ কাশি হতে পারে। কফের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
এ ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অংশে যক্ষ্মার জীবাণু সংক্রমিত হলে সেই অংশটি ফুলে উঠবে। যেমন গলার গ্লান্ড আক্রান্ত হলে গলা ফুলবে, মেরুদণ্ড সংক্রমণ ঘটলে মেরুদণ্ড ফুলে উঠবে।
ফোলা অংশটি খুব শক্ত বা একদম পানি পানি হবে না। সেমি সলিড হবে। ফোলার আকার বেশি হলে ব্যথাও হতে পারে।
লিভারে যক্ষ্মা হলে পেটে পানি চলে আসে, তাই পেটও অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়।
মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটলে মস্তিষ্কে পানির মাত্রা বাড়ে। অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্ক যে ইডিমা বা পানির মধ্যে থাকে, সেটার পরিমাণ বেড়ে যায়।
এছাড়া চামড়ায় বা অন্য যেখানেই হোক না কেন সেই অংশটা ফুলে ওঠে।
এ অবস্থায় নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী পুরো মেয়াদে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে যক্ষ্মা পুরোপুরি সেরে যায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি