ক্যানসারের নাম শুনলেই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবুও অনেকেরই এ বিষয়ে তেমন সচেতনতা নেই। আর এ কারণেই বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে কয়েকটি ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা এখন খুব বাড়ছে। যার মধ্যে মুখের ক্যানসার বা ওরাল ক্যানসার অন্যতম।
মূলত ধূমপানের অভ্যাস ডেকে আনে এই ক্যানসার। এছাড়া জর্দা বা তামাক খাওয়ার নিয়মিত অভ্যাসেও মুখে কর্কটরোগ দেখা দিতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রেই ধূমপান বা নেশার দ্রব্যই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ, তা নয়।
বা জীবনধারণে অনিয়মের কারণেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই মুখেরই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি। মারণব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধলে বাইরে তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই লক্ষণ জানা থাকা দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ করা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা যায়। ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?মুখের ভেতর মাংসপিণ্ড। আপনার মুখের ভেতরে কোনো ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে? তা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে কিংবা মুখের ভেতরে মাংসপিণ্ড জমাট বাঁধতে থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের নিন। কারণ এটি হতে পারে ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ। জিহ্বা নাড়াতে অসুবিধা কিংবা কথা বলার সময় অস্বস্তিবোধ করাও কিন্তু মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। এছাড়া মুখ হাঁ করতে অথবা খুলতে ব্যথা অনুভব করলেও সতর্ক হতে হবে। ঢোক গিলতে সমস্যা ঠান্ডা লাগলে বা কোনো ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা কিছুদিন পরই সেরে যায়। যদি দেখেন দীর্ঘদিন পরেও এই ব্যথা কমছে না তাহলে সতর্ক হন। মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি তামাকে আসক্ত হন, লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হল প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ। গালে বা গলায় ফোলা অংশ গালে বা গলায় কোনো ফোলা অংশ যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনো ব্যথা-যন্ত্রণা নেই, এমন লক্ষণও কিন্তু ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়।