মোঃএরশাদ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ‘বাংলাদেশ-চীন ইকোনোমিক পার্টনারশীপ আন্ডার দা বেল্ট এন্ড ইনিশিয়াটিভ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ই আগস্ট (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদেকীন। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক হাদিফুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আজকের এই সেমিনারে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশ ও চীন বহুদিন ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো, জ্বালানি, বাণিজ্য, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে চীনের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন চীনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স, এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মারুফ হাসান। তিনি বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে BRI-তে যুক্ত হওয়ার পর থেকে চীন আমাদের অন্যতম কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার। অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, বন্দর ও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা ও মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন এসব প্রকল্প কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই ত্বরান্বিত করছে না, বরং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে। চীনের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আমাদের ভিশন গড়ার স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ আয়োজনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টার এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
উক্ত সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।