টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের ৪০ ভাগ এখন প্রভাবশালীদের দখলে। কেটে নেওয়া হয়েছে অনেক শালগাছ। সেখানে আবাদ হচ্ছে নানা ধরনের ফল ও ফসল। দখল কাজে অনেক বন বিভাগের কর্মী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
মধুপুর ফুলবাগচালার এক জায়গায় গেল বছরও ছিল গজারির বন। কিন্তু এখন এ জায়গায় গাছ কেটে চাষ হচ্ছে ফলের।ফুলবাগচালা ছাড়াও টক্কুরচালা বাইদ, দিঘলবাইদসহ বিভিন্ন এলাকায় বনের জায়গা দখল করে করা হচ্ছে এমন নানা রকম ফলের চাষ।স্থানীয়দের অভিযোগ, বন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অবৈধভাবে লিজ নিয়ে স্থানীয় প্রভাশালীরা উজাড় করছে গাছ। চাষ করছে নানা ফল গাছের।বন দখল বন্ধে নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছন তিনি।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, ‘মধুপুর বনাঞ্চলের ৪০ ভাগই এখন প্রভাবশালীদের দখলে। আমরা তাদেরকে নিয়মিত বাঁধা দেই, আইনানুগ ব্যবস্থা নেই। তার পরেও পারছি না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করব।’দেশের তৃতীয় বৃহত্তম-মধুপুর বনাঞ্চলের আয়তন ৪৫ হাজার একর। এর মধ্যে দখল হয়ে গেছে প্রায় ১৯ হাজার একর বনভূমি।