টাঙ্গাইলের মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে একটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ ওঠেছে। এঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধুপুর ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভোক্তভোগী পরিবার।
ভোক্তভোগী দোকানী নজরুল ইসলাম জানান, আমি আমার পৈত্তিক সম্পত্তিত্বে দীর্ঘদিন যাবত দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। মঙ্গলবার (৮জুলাই) স্থানীয় সন্ত্রাসী একই এলাকার মৃত আরফান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে জাকির হোসেন এবং তাদের বাহামভূক্ত আনছার আলী, আলম, সুরুজ মিয়া, মোতালেব, মোশারফ গংরা মিলে তাদের সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামালা চালিয়ে দোকান ঘরটি ভাংচুর করে। এসময় দোকানের বেড়া, খুটি সহ সকল মালামাল লুটে নিয়ে যায়। বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা রাম দা, লাঠি শোঠা নিয়ে সন্ত্রাসী কাদায় হামলা চালিয়ে ধাওয়া করে। যাওয়ার সময় কোন সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে যায় মামলা না করার জন্য। জায়গাটি বেদখল করার জন্য পায়তারা করছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীতায় ভূগছি। এঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধুপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারের কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এঘটনায় সঠিক বিচার দাবী করছি।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান,আমাদের একমাত্র দোকান টি ভাংচুর করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। আমরা এঘটনার সঠিক বিচার চাই সেই সাথে তাদের কঠিন শাস্তির দাবী করছি।
পিরোজপুর গ্রামের ৭০ উর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধ আক্কাছ আলী জানান, আমি আমার জম্মের পর থেকেই দেখে আসছি এ জমি নজরুলের বাপ দাদারা ও নজরুলরা ভোগদখল করে আসতেছে। হঠাৎ করেই আনোয়ার গংরা ওই জমি তাদের দাবী করে নজরুলের দোকান ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। জমিটি বেদখল করার জন্য এই অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমরা এই দোকান ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত ন্যায় বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় সোলাইমান হোসেন, লিয়াকত হোসেন, ফারুক হোসেন সহ এলাকাবাসীরা জানান, নজরুলের জমিটি বে দখল করার জন্য বিবাদীরা মরিয়া হয়ে ওঠেছে। মঙ্গলবার দিন নজরুলের জমি থেকে তার দোকানঘরটি ভাংচুর করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এমন ভিডিও ফেসবুক ইউটিউবে ভাইরাল হলে বিবাদীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনার সমাধানে দ্রুত প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ দাবী করছি।
এবিষয়ে বিবাদীদের বাড়ীতে জানতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এঘটনায় মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবীর জানান, এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।