টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকায় ধর্ষণ মামলার পরপরই ধর্ষণ কারীদেরকে গ্রেফতার করেছেন মধুপুর থানা পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায় ৪ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান একটার দিকে ব্রাম্মনবাড়ী,কাটাখালি এলাকার জনৈক গৃহবধু তার নিজের বাড়ীর পাশে রাস্তায় তার পূর্বের প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য আসিলে ব্রাম্মনবাড়ী হীরণ বাজার সংলগ্ন নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আরিফ (২৩) মোঃ আয়নাল হকের ছেলে মোঃ রুবেল ( ২৩),মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে রাস্তায় দেখিয়া এতো রাতে রাস্তায় কেন জিজ্ঞাসা করে।
ভিকটিম ভীত হইয়া স্বীকার করে যে, সে তার আগের প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য এসেছে । আসামীগন ভিকটিমকে বলে যে তার প্রেমিককে টেলিফোন করে আনতে । পরে প্রেমিককে মধুপুর থানাধীন ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হিরন এর পুকুর পাড়ের কাচারী ঘরের দক্ষিণ দিকে খড়ের পালার পাশে,বেঁধে রেখে উক্ত স্হানে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে দুইজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে।
পরে এলাকায় এ নিয়ে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। ব্যর্থ হয়ে গত সোমবার (৯ মেপ্টম্বর) রাতে ভিকটিম তার অভিভাবক সহ থানায় এসে অভিযোগ করিলে মধুপুর থানা পুলিশ ভিকটিমের কাছ হইতে বিস্তারিত শুনে সাথে সাথে মামলা রুজু করিয়া আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে মামলার আই,ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত), রাসেল আহমেদ পিপিএম, নিজেই সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্য বের হয়ে যান। রাত্রী অনুমান ০২.০০ ঘটিকার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এব্যাপারে মধুপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মধুপুর থানার মামলা নম্বর: ৬/৯৪ , তারিখ-(১০ সেপ্টেম্বর,) ধারা: ৯(৩) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩।
এ সংক্রান্তে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা ও আসামীদের অদ্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন পূর্বক অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান।