টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী যমুনা নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধভাবে বালু মজুদ ও উত্তোলনের অভিযোগ ওঠেছে। জুরান মন্ডল নামের এক আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। জুরান মন্ডল উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
তিনি ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছর ধরে এই বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে তিনি অবাধে বালু মজুদ ব্যবসা ও উত্তোলন করে যাচ্ছে।
এছাড়া যমুনা নদীর তীর ঘেঁসে আলম মন্ডল, জাহাঙ্গীর, পাথলকান্দির আসলাম মেম্বার ও নরুসহ ১০-১৫টি অবৈধভাবে বালু মজুদ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলা ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু মজুদ করছে। আর মাটি সমান্তরাল কাজ করছেন দুইজন লেবার। সকাল ৭টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত মাটি সমান্তরাল কাজে মজুরি পান ৬০০ টাকা। এছাড়াও ৪টি ভেকু দিয়ে মজুদ করা বালু ট্রাকে করে বিক্রি করছে সারাদিন রাত ২৪ ঘন্টা।
স্থানীয়রা জানান, এই জুরান মন্ডল সিরাজগঞ্জের মেসার্স এস কনস্ট্রাকশন থেকে বালু কিনে আনে ঠিকই, কিন্তু বালু মজুত করে নদীর তীরেই। যখন বালু আনলোড করে তখন আরও কয়েকটি নৌকায় ড্রেজার বসিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তার সাথে বালু মজুত করছে।
এছাড়াও তিন থেকে চারটি বাংলা ড্রেজার দিয়ে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করেন জুরান মন্ডল ও তার সহযোগিরা। এব্যাপারে জুরান মন্ডল বলেন,আমার বালু সব সিরাজগঞ্জে থেকে কেনা।

ভূঞাপুর নৌ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। যদি অবৈধ ভাবে বালু মজুত বা উত্তোলন করে থাকে আমি স্পটে গিয়ে সব ধরণে তথ্য ইউএনও মহোদয় ও এ্যাসিল্যান্ড মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করবো।
“টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন গোবিন্দাসী যে বালুর ঘাট রয়েছে তা আমার জানা নেই। যদি এ ধরণের কোন ঘাট তৈরি হয়ে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তবে এইসব বালুর ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রন করছে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান। জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান মাধ্যমেই ঘাটের কোটি-কোটি টাকা প্রশাসনকে মেনেজ করেই ভাগ-বাটোয়া করে।











