মোঃ এরশাদ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ১৮-এর পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান প্রতিবাদের ঢেউ ৪ জুলাই বাস্তব রূপ নেয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)–তে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসব্যাপী গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা।

সেদিন লাইব্রেরিতে পাঠরত শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী আলোচনা শুরু করে এবং রাতেই তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই রাতে শিক্ষার্থীরা ১৮-এর পরিপত্র পূর্ণ পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়। পরদিন ৫ জুলাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্যানার তৈরি করে টাঙ্গাইলের সন্তোষ এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন যে, পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে টাঙ্গাইল শহর এবং আশেকপুর বাইপাসে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
যদিও পরবর্তীতে আন্দোলন দমাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়, তবুও আন্দোলন থেমে থাকেনি।
৬ জুলাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা হয়ে আশেকপুর বাইপাসে মহাসড়কে গিয়ে তৎকালীন পুলিশ প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সরকারি সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, এম. এম. আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
এইভাবেই মাভাবিপ্রবিকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে।(সংক্ষিপ্ত)