সমাচার ডেস্ক: কাজের সন্ধানে দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকা পড়া একই পরিবারের ৫ জনসহ ১০ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে শনিবার (২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে তারা দেশে ফিরেছেন। ভারতের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসারা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার আল-আমীন মিনা, তার স্ত্রী কুলসুম বেগম, ছেলে রিফাত মিনা ও শিফাত মিনা এবং তার ভাই আহাদ মিনা। অন্যরা হলেন- একই উপজেলার রাজু শেখ, মোহাম্মদ মোল্লা ও তার স্ত্রী নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সুমি আক্তার এবং তাদের চার মাস বয়সী সন্তান সানজিদ মোল্লা এবং নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাজেদা খাতুন। সাজা শেষে ত্রিপুরা রাজ্যের নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে তারা অবস্থান করছিলেন।
সাজেদা খাতুন বলেন, ভালো কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তিনি ভারতে যান। পরে দালাল তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। সাজা ভোগ করে দুই বছর পর আজ তিনি দেশে ফিরতে পেরে খুবই খুশি।
নড়াইল কালিয়া উপজেলার শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন দুই বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা পরে। এর মধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দুই বছর পর তাদের ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারি সেই কামনা করি।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের কনস্যুলেট অফিসার মো. ওমর শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ১০ জন বাংলাদেশিকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছি। তাদের ৭জন পূর্ণ বয়স্ক। তারা কাজের সন্ধ্যানে পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। ভারতের আদালতের নির্দেশে তারা সাজা ভোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশ হাই কমিশন খোঁজ খবর নেই। তাদের নাম ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনস্যুলার অফিসার মো. ইলিয়াস উদ্দিন, মো. ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ড রাম নরেশ সিং এবং আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেন প্রমুখ।