ঢাকা পিলখানায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরী দাবি করেছেন, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী “পুশ ইন” প্রক্রিয়া যথাযথ আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনকে বিজিবির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আরও ২,৪০০ কেস যাচাই প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুশ ইন প্রক্রিয়ার সময় শুধুমাত্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ম অনুযায়ী ফেরত পাঠানো হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনও এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে। কিছু ক্ষেত্রে ভারতীয় বা রোহিঙ্গা নাগরিককেও পুশ ইন করার অভিযোগের প্রশ্নে তিনি উল্লেখ করেন, সব কাজ আইনের সীমার মধ্যে এবং বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।
সীমান্তে হত্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে দুই দেশের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রাতে টহল জোরদার, মারণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা এবং সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আক্রমণ ও নির্যাতনের ঘটনা শূন্যে নামানো হবে।
এছাড়া বিএসএফ ডিজি বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৫ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন অনুপ্রবেশকারীদের ধারালো অস্ত্র হামলায়। বিজিবি মহাপরিচালক এ বিষয়ে সংশোধনী মন্তব্য করেন, সম্প্রতি একজন অল্প বয়সী বাংলাদেশি শিশুকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিবি মহাপরিচালক, প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশন এবং ভারতীয় পক্ষ থেকে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অংশগ্রহণ করেন।