আলোচিত বালিশ কাণ্ডকেও হার মানিয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে টি আর কে এন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। তার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে অর্ধ কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ । এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের শাস্তি সহ অপসারণ চান কলেজের শিক্ষক এবং এলাকাবাসী।জানাযায়, ২০১৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজে জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন গোলাম মোস্তফা। এর পর থেকেই শুরু করেন অনিয়ম দূর্নীতি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে গড়ে তোলেন দূর্নীতির আখড়া। তিনটি স্টীলের দরজা, একটি প্লাস্টিকের দরজা ও দুইটি বেসিন ক্রয় করে ভাউচার দেখিয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৪ টাকার। প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত বেঞ্চ থাকা সত্ত্বেও ভুয়া ভাউচার করেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আপ্যায়ন বাবদ খরচ দেখিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ২’শ ৭২ টাকা। টিউশন ফি’র ১০ লাখ ১৩ হাজার টাকা শিক্ষকদের প্রদান না করে নিজের পকেটে ভরেছেন অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। কলেজের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও বোর্ডে যাতায়াত বাবদ বিল দেখিয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানের কোন মামলা না থাকলেও ব্যক্তিগত মামলার ৩৪ হাজার টাকার খরচ দেখিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের নামে।
এছাড়াও মসজিদ ফান্ডের টাকা, অফিস সজ্জিতকরণ, গভর্নিং বডির নির্বাচন, শিক্ষাসফর, প্রশংসাপত্র বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তাঁর এ অনিয়মের সহযোগী সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, প্রধান করনিক লিয়াকত আলী ও জুনিয়র করনিক মোজাম্মেল হোসেন। সম্প্রতি অভ্যন্তরিণ অডিটে উঠে এসেছে এমন অনিয়মের চিত্র। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষক ও এলাকাবাসী।অন্যদিকে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন যাবত কলেজে আসা বন্ধ করায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যাবহৃত ফোনে সংযোগ পাওয়া যায় নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।