ফুটবলের সৌন্দর্য গোল। আর রিয়াল ভায়াদোলিদকে নিয়ে সেই খেলাই মেতে উঠে বার্সেলোনা। একের পর এক গোলে তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড। স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রিয়াল মাদ্রিদকে সতর্ক করল বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রেকর্ড গড়া ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। স্কোর শিটে নাম তুলেছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি, দানি ওলমো, জুলস কুন্দে এবং ফেরান তোরেস। গোল না পেলেও অ্যাসিস্টে নতুন রেকর্ড গড়েছেন লামিনে ইয়ামাল।
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করলো বার্সা। লিগের চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ১২ পয়েন্ট কাতালানদের। আর ৩ ম্যাচে ১ জয় আর ২ ড্রতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এখনো মৌসুমের প্রায় পুরোটাই বাকি। ঘটতে পারে অনেক কিছু। গত মৌসুমে শিরোপাহীন বার্সার বড় জয়, নিঃসন্দেহে রিয়ালের জন্য সতর্কতাই। যদিও ম্যাচে প্রথম গোল পেতে বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয় ২০ মিনিট। ডিফেন্ডার পাউ কুবারসির কাছ থেকে পাওয়া বলে গোল করেন রাফিনিয়া। এর চার মিনিট পরে গোল ব্যবধান দ্বিতীয় করেন লেভানদোভস্কি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্কোর সিটে নাম তোলেন কুন্দে। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় আর দলের চতুর্থ গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর ৮ মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এটি তার প্রথম হ্যাটট্রিক। আর লা লিগায় এটি ছিল ইয়ামালের অষ্টম অ্যাসিস্ট। এতে নতুন এক রেকর্ডে নাম লেখান স্প্যানিশ তারকা। এ পর্যন্ত লা লিগায় ৪২ ম্যাচে ১৪ গোল (৬ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) যুক্ত ইয়ামাল। একুশ শতকে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলারদের মধ্যে এমন কীর্তি নেই আর কারও। ৮২ মিনিটে গোল পান তরুণ তুর্কি ওলমো। এর তিন মিনিট পর গোল পান তোরেসও। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের পোস্টে ১১ শট লক্ষ্যে রেখে ৭ গোল আদায় করে নেয় বার্সা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৭ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা, প্রতিপক্ষ ছিল ওসাসুনা।২০১৬ সালে লা লিগায় পেয়েছিল এরচেয়ে বড় জয়। সেবার দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ৮-০ গোলের জয় পায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।