মালয়েশিয়ায় অনাহারে রয়েছে ২০০ প্রবাসী বাংলাদেশি। কাজ করেও পাঁচ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না এসব কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েক বৈধ কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশেও ফেরত পাঠিয়েছে ‘কাওয়াগুচি’ নামের কোম্পানি।শুক্রবার (৩০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির বাইরে বিক্ষোভ করায় উল্টো হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় আসেন প্রায় ২০০ বাংলাদেশি কর্মী। অনেকেই নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে কেউবা আবার চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে পাড়ি জমান দেশটিতে। প্রথম দিকে ধাপে ধাপে চার মাসের বেতন পরিশোধ করলেও সবশেষ পাঁচ মাসের বেতন আটকে দিয়েছে নিয়োগকর্তারা। এমনকি বেতন না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতনের দাবিতে কোম্পানির চত্বরে জড়ো হন কর্মীরা। এর আগে, পাওনা বেতন পাওয়ার দাবিতে অবস্থান নেওয়ায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে ৪ বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য ব্ল্যাক লিস্ট করে দেশে ফেরতও পাঠায় কাওয়াগুচি নামের ওই কোম্পানি।
এসব কর্মীদের ৩ ঘণ্টা ওভার টাইমসহ প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করিয়ে নিলেও থাকা-খাওয়াসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। ভুক্তভোগী কর্মীরা বলছেন, আমদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে প্রত্যেক মাসের বেতন ঠিক সময়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তারা সে আশ্বাস রাখছে না। এই অবস্থায় আমরা দেশ থেকে যে ঋণ করে এসেছি সেই ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা আমাদের নেই। কোম্পানির কাছে এ বিষয়ে বলা হলেও তারা গড়িমসি করে। এমনকি উল্টো দেশে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসার পর দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অনেককে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। চাকরির পাশাপাশি প্রতারক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের। শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী বাংলাদেশি কর্মীরা।