দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পরীক্ষা গ্রহণসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পরীক্ষাগুলো চালু রেখেছেন প্রধান শিক্ষকরা।
বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় প্রধান শিক্ষকরা নিজ দায়িত্বে অথবা বিকল্প ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র বিতরণ, কক্ষ তত্ত্বাবধানসহ পুরো পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক বা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকরা জানান, আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক হলেও শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন বন্ধ রাখলে তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে। তাই পরীক্ষা স্থগিত না করে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় পরীক্ষাগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক নেতারা জানান, দীর্ঘদিনের বেতন–স্কেল বৈষম্যসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের মায়া–মমতা আছে বলেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন এবং কোনো বাধা সৃষ্টি করছেন না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ আক্তার বানু বলেন, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আন্দোলন ও পরীক্ষা—দুই পরিস্থিতি একসঙ্গে চলায় কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও যথাসম্ভব স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রেখে পরীক্ষা চলছে ।
একদিকে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি, অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকদের উদ্যোগে চলমান পরীক্ষা—এই দুই বৈপরীত্যের মধ্যে ভূঞাপুরের প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গন এখন অস্বাভাবিক কিন্তু সক্রিয় সময় পার করছে।











