টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ জন কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে ১৪ জনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে অদ্য ২ জানুয়ারি অপরাহ্ণ হতে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ এদিকে অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রাতেই ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ করে যার যার বাড়িতে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচের টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৭৯৩ জনের ৬ মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এদের মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ট্রেইনি রিক্ররুট কনস্টেবলের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তারিখ পরিবর্তন করে ১২ জানুয়ারি করা হয়।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত বাতিল হওয়া কুচকাওয়াজের চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্ররুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ প্রাপ্তদের ৬ (ছয়) মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৪-০৬-২০২৪ তারিখ হতে ৭টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমি, সারদা, রাজশাহী; পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, (টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, খুলনা, রংপুর); পিএসটিএস, বেতবুনিয়া, রাঙামাটি ও এএসটিসি, খাগড়াছড়িতে চলমান রয়েছে। চলমান প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. নির্ধারিত ছিল। অনিবার্য কারণবশত সমাপনী কুচকাওয়াজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। উক্ত সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ আগামী ১২ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা বলেন, ১৯১ দিন প্রশিক্ষণ হয়েছে। পাসিং প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ হঠাৎ অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো কাজ না করেও আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার সাহেদ মিয়া বলেন, এই বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ছাড়া আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।