নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় দায়ের করা একটি পর্নোগ্রাফি মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে চার্জশিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম পান্নুর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আদালত এসআই-এর বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি রোববার (২৪ আগস্ট) নোয়াখালী আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। বাদী মামুন অর রশিদ আদালতে চার্জশিট নাকচ করে নারাজি আবেদন করেন। পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম পান্নুর বিরুদ্ধে আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন। তবে বিচারকের তলব সত্ত্বেও চার্জশিট দাখিলকারী এসআই আদালতে হাজির হননি।
মামলার পটভূমি হাতিয়া উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মামুন অর রশিদ ও তার শিক্ষিকা স্ত্রীকে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি ২০২৩ সালের ৫ মে সুধারাম থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এসআই রেজাউল করিম চার্জশিটে শুধুএকজনকেই অভিযুক্ত করেন। বাদীর দাবি, বিকাশ, কলরেকর্ড ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশের অবস্থান বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এসআই রেজাউল করিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। থানার ওসিকেও পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফয়েজ উদ্দিন জানান, অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নন। শিগগিরই তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।